photo credit-INT |
যেহেতু আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালেট পেপার ব্যবহার করা হবে এবং ইভিএম মেশিনের বদলে ভোটবাক্সে ভোট পড়বে, তাই প্রতিটি ব্লক ভোটবাক্সগুলি ঠিকঠাক করতে এখন দিনরাত কাজ করে চলেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যালট পেপারের সাহায্যে ভোট হয়েছে, এবারও ভোটিং মেশিন ব্যবহার সম্ভব নয়। কারণ এই ভোটে বুথের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই মেশিনে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারকে তাহলে বিপুল অর্থ খরচ করে এই মেশিন কিনতে হবেনেওয়া হয়েছে। রানাঘাট ব্লকের বিডিও অফিসের একজন আধিকারিক বললেন, এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৈরি হচ্ছে, কারণ অনেক পুরনাে বাক্স নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে তা ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ
নাগাদ ভোটার তালিকা পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে যাবে- সংশোধনীর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এই তালিকা অনুসারেই গত বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ভোট হবে কবে? এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের মধ্যে। তারিখ সম্বন্ধে এখনও কিছুই জানেন না নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্ৰকুমার সিং। এমনকি পঞ্চায়েত দিন, তারিখ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পঞ্চায়েত ভোট কবে নাগাদ হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের খবর, নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা, দিন তারপরে নির্বাচন হলেও কোনও অসুবিধে নেই।প্রস্তুতি পৰ্ব্বও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেই শুরু
হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার শ্ৰী সিং এই পদে আসীন হয়ে দু'দফায় দুটি পুর নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। পুরসভার সংখ্যা যদিও বেশি ছিল না। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল বিস্তর। এবার তার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, যা বিধানসভার ভোটের সঙ্গেই প্রায় তুলনীয়। পঞ্চায়েত ভোট আর বেশি দূরে নেই বলে এখন গ্রামাঞ্চলের রাস্তাগুলি জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ আরম্ভ হয়েছে। পানীয় জলের সরবরাহ নিয়ে প্রায় প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় মানুষের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তাই পানীয় জলের সমস্যা নিবারণে ব্লকগুলি নজর দিচ্ছে। বেশ কিছু ব্লকে টিউবওয়েলের জলে আসেনিক সমস্যাও রয়েছে- এই টিউবওয়েলের জল যাতে ব্যবহার না করা হয়, তার জন্য তাতে লাল রং লাগানো হচ্ছে। এতো গেল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের খুঁটিনাটি-এবার রাজনৈতিক দলগুলি এই ভোট নিয়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে? শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, জলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেক আগের থেকেই
ভোটের কাজ শুরু করে দিয়েছে। জনসংযোগ বাড়ানাে, মানুষের অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং তা সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করা সাংগঠনিক কাজে মন দেওয়া এবং সরকারের কল্যাণকর কাজগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরা ইত্যাদি কাজে মন দিয়েছেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিজেপি এবার উঠে পড়ে লেগেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করার। রাজ্য বিজেপি নেতারা, কমী-সমর্থকরা এই ভোটের জন্য সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাহায্য করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও। এই পঞ্চায়েত ভোট এই দলের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। এই ভোটে ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই দলের ভবিষ্যৎ এদিকে বামরা এবং কংগ্রেসও বসে নেই। বামেরা জেলায় পদযাত্রা কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিচ্ছেন নেতারা। কংগ্রেসও এই ভোটের প্রস্তুতিতে ভালোভাবেই রয়েছে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
If You have any Questions or Query You caan freely ask by put Your valuable comments in the COMMENT BOX BELOW
আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে আপনি নিচে COMMENT BOX এ আপনার মূল্যবান মন্তব্যগুলি করতে পারেন ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
If You have any Questions or Query You caan freely ask by put Your valuable comments in the COMMENT BOX BELOW
আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে আপনি নিচে COMMENT BOX এ আপনার মূল্যবান মন্তব্যগুলি করতে পারেন ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment
thanks for the comment