লখনউ, ১৮ অক্টোবর- প্রথমে ডিমিনিটাইজেশন বা বিমুদ্রাকরণ এবং তার মাস ছয়েকের মধ্যে জিএসটি অর্থাৎ পণ্য ও পরিবহন কর প্রয়োগ, এই জোড়াকোপের ফলে বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসগুলোতে এবছর দীপাবলির রোশনাইও যেন অনেকাংশে স্নান হয়ে গিয়েছে। আসোসিয়েটেড চেম্বার্স অফ কমার্স বলছে এবছর দেশের প্রথম সারির কর্পোরেট সেক্টরগুলোতে দীপাবলির উপহারের জৌলুস ফেন অনেক কম, নোট বাতিল ও জিএসটির গোলকধাঁধায় পড়ে বাজেট সংকুচিত করতে হয়েছে। কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ৭৫৮টি অফিসে টেলিফোন মারফত সাক্ষাৎকার নিয়েছে অ্যাসোচেমের প্রতিনিধিরা। তাতেই জানা গিয়েছে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ও কর্পোরেট
জগতের অন্যান্য কোম্পানিগুলো এবছর দীপাবলি উপলক্ষে কর্মচারি ও অংশীদারি সংস্থায় পাঠানো উপহার বাবদ খরচ অন্তত ৩৫-৪০ শতাংশ অবধি কমিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতবছর নভেম্বরে কালোটাকা ও জালানোটের কারবার বন্ধ করতে পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি। ফলস্বরূপ একদিকে যেমন বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকার জালানোট, অন্যদিকে ব্যান্ধের অ্যাকাউন্টে জমা পড়তে থাকে বিপুল পরিমাণ বাতিল নোট। ফলে বেআইনি ও হিসাববহির্ভূত অর্থভান্ডারের ওপর থেকে মায়া কাটাতে হয়। টাকার গদিতে শুয়ে থাকা কালোবাজারিদের। এর কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন আলাদা আলাদা করব্যবস্থা তুলে দিয়ে চালু করা হয় এক কর
ব্যবস্থা অর্থাৎ জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স)। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় একঝাক পণ্যসামগ্রীর দাম কমার পাশাপাশি মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য ও বিলাসবহুল পণ্যের দাম বেড়ে যায় হু হু করে। ফলে উপহার বাবদ খরচ কমাতে বাধ্য হয়। প্রায় প্রতিটি বেসরকারি সংস্থা। অ্যাসেচেমের সাধারণ সম্পাদক ডি এস রাওয়াত জানিয়েছেন, জিএসটি চালু হওয়ায় দীপাবলির উপহার ও মিষ্টির বাজার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত মিষ্টি, কেক, কুকিজ, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ সামগ্রী বিক্রেতারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে মোদির বিমুদ্রাকরণ এবং জিএসটি প্রয়ােগের ফলে শুধু জাতীয় অর্থনীতিই ধাক্কা খায়নি, টোকা লেগেছে ভারতের আমজনতার ভাবাবেগে ।
No comments:
Post a Comment
thanks for the comment