ঢাকা, ১৮ অক্টোবর- রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় আবারও বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে তারা। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তায় প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তিন সংস্থা এক সম্মেলন আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কুয়েত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাতিসংঘের এই প্রয়াসে সংহতি জানিয়ে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যুক্ত বিবৃতিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, জরুরি ত্ৰাণ সমন্বয়ক ও
এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং, এমন সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। ওই তি
সংস্থার প্রধানের যুক্ত বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া সংকট জরুরি মানবিক সংকটও বলেছেন। রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতা থেকে সম্প্রতি পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গর সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ‘শরণার্থীর' প্রবেশ। তাদের সহায়তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় দাতব্য সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক, জাতিসংঘ ও এনজিওগুলো কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই সহায়তাকে যথেষ্ট মনে করছে না জাতিসংঘ। যুক্ত বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, নিরাপত্তা ও মৌলিক আশ্রয় নিশ্চিত করার প্রসঙ্গ উঠে
এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক স্থানে এখনও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নেই। পয়, নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। এতে আশ্রয়গ্রহণকারী ও স্থানীয়দের উভয়ের জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুকি। জাতিসংঘ সম্প্রতি প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। সোমবার এর তিন সংস্থার যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিশ্চিত করতে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। পালিয়ে আসা মানুষজনের জন্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা আর আশ্রয়। রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয়দের আর্তি আর উদারতা আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে গেছে। এবার জেনেভায় মানবাধিকার সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন ইউএনএইচসিআর সম্মেলন বসছে। ওই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে। ভাগ করে নেবে দায়িত্ব।
No comments:
Post a Comment
thanks for the comment